প্রতিনিধি,মেদিনীপুর: কে টিভি নিউজ:১২ মার্চ: মেদিনীপুর শহরে একদিকে বিজেপির যুব আড্ডায় উপস্থিত দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে একই সময়ে একই স্থানে যুব তৃণমুলের বাইক মিছিলকে ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। উভয়পক্ষের চোর শ্লোগানে সরগরম মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল বিজেপি যুব মোর্চার। বিকেলে ৬ টা নাগাদ সেই যুব আড্ডায় উপস্থিত হন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সময়ে কলেজ ময়দান থেকে বাইক মিছিল বের হয় যুব তৃণমুলের। বাইক মিছিল পঞ্চুরচকে পৌঁছাতেই উভয়পক্ষের শ্লোগান জোরালো হয়। উভয়পক্ষই চোর চোর শ্লোগান দিতে থাকে। এমনকি বাইক মিছিল পুনরায় ফিরে আসতে মাইক হাতে চোর শ্লোগান দিতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকেও। ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় শালবনীর ভাদুতলাতেও দিলীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে চোর শ্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঘটনার কথা তুলে ধরে বিস্ফোরক বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভাদুতলায় আমাকে দেখে বেশকিছু লোক ঘেউঘেউ করতে শুরু করল। আমি TMC নেতাদের বলে দিচ্ছি, যদি ভাবেন এভাবে ভোট করাবেন, আমরা পোস্টার ব্যানার নিয়ে ভোট করব না, অন্য কিছু নিয়ে ভোট করব। যারা কানে দুল পরে চেঁচামেচি করছে, তারা বাড়িতে যেন বলে আসে নামটা কেটে দেয়। দিলীপ ঘোষ এরকম জোরচোরদের বুকে পা দিয়ে ১৮ টা MP জিতেছে। দিলিপ ঘোষ সমাজ বিরোধী, গুন্ডা, গাছকাটা, পকেটমারদের ভয় পায়না, কানের নিচে দু থাপ্পড় দিলে সাতদিন শুনতে পাবেনা। কামাচ্ছো, করে খাচ্ছো খাও, কেন চুলকাচ্ছ, আমরা চুলকালে ঘাস ফুটতে দেবো না।
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা আক্রমন করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্ত্তী। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষটা কে ? খায় না মাথায় দেয়। আমরা জানিনা কে দিলীপ ঘোষ। পাঁচ বছর সাংসদ হয়েছে, মেদিনীপুরের মানুষ তাকে কোনোদিন চোখে দেখেছে বলে আমরা মনে করিনা। তাছাড়া আজকের কর্মসূচি আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়েই আজ আমাদের দলীয় প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে মেদিনীপুরে বাইক মিছিল করে মানুষের কাছে ভোটদানের আবেদন জানিয়েছি। দিলীপ ঘোষের হুশিয়ারি প্রসঙ্গে নির্মাল্য চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা হচ্ছে হাতি, আমরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবো, কুকুর সাইডে ভৌভৌ করবে, বিজেপির ওটাই কাজ। আর যে মেঘ গর্জায়, সে মেঘ বর্ষায় না। দিলীপ ঘোষ গর্জন বহুবার করেছে, বর্ষানোর মত ক্ষমতা উনাদের নেই। বর্ষণ করার চেষ্টা করলে যুব তৃনমূল কংগ্রেস বিজেপির জন্য কাফি।