প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: কে টিভি নিউজ: ৭ মার্চ: নারী-শক্তির জয়গান গেয়ে মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লীর বাসিন্দা সুমিতা পাইন দাস নিজের চাকরি আর ঘর-সংসার সামলেও ২০২৩-র ডিসেম্বর মাস নাগাদ বাড়িতে তৈরী করেছিলেন ক্লাউড কিচেন বা অন্দরের রান্নাঘর। নাম রেখেছিলেন ‘মরিচ’ (Morich)। সঙ্গে নিয়েছিলেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন মহিলাকেও। ফেসবুক সহ সমাজ-মাধ্যমের উপর নির্ভর করে অর্ডার অনুযায়ী বাড়িতেই তৈরী হত খাবার। তারপর তা পৌঁছে যেত খদ্দের বা গ্রাহকদের নির্দিষ্ট ঠিকানায়। এই কাজে স্থানীয় কয়েকজন মহিলা, এক বন্ধু ছাড়াও সুমিতা তাঁর স্বামী (অমিতেশ পাইন) এবং ছেলে (সৌনক পাইন)-র পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছিলেন বলে জানান। স্বাদ আর পরিষেবার গুণে দ্রুত জনপ্রিয় হয় সুমিতা’র ক্লাউড কিচেন ‘মরিচ’। সুমিতা বলেন, “মানুষের চাহিদা ও আগ্রহ অনুভব করেই ক্লাউড কিচেন-কে লাইভ কিচেন বা রেস্টুরেন্টে রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই!” সেই মতো গত রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের তাঁতিগেড়িয়া (বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি রোড) এলাকায় সুমিতা’র “মরিচ” (Morich) রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন হয়।
আকর্ষণীয় সাজে সজ্জিত শহরের এই নতুন রেস্টুরেন্ট ঘিরে ইতিমধ্যে শহরবাসীর আগ্রহ চোখে পড়েছে। উদ্বোধনের দিন নিমেষে শেষ হয়েছে নিত্যনতুন সব খাবার। মূলত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কথা ভেবেই নূন্যতম দামে বিভিন্ন ধরনের ‘থালি’ বা লাঞ্চ, ডিনারের প্যাকেজ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুমিতা ও অনিমেষ। বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন, পাকোড়া-র মতো বর্তমানে জনপ্রিয় সব খাবার ছাড়াও অর্ডার অনুযায়ী খাবারের সাবেকী এবং চিরন্তন পদগুলিও তৈরী করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পেশায় একটি বেসরকারি অর্থ বিনিয়োগকারী সংস্থার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সুমিতা পাইন দাস। তিনি বলেন, “রেস্টুরেন্টের আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় খাবারগুলির দাম আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবেই একটু কম রেখেছি। তবে, মরিচ রেস্টুরেন্ট ছাড়াও, 7501239968 নম্বরে ফোন করলে আমরা আগের মতই অর্ডার বা চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন খাবার দাবার তৈরি করে দেবো। একইসঙ্গে জোমাটো, সুইগির মাধ্যমেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং খাবার অর্ডার দিতে পারেন।
ভিডিও লিংক নিচে