প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: কে টিভি নিউজ: ২২ মার্চ: তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নির্দল কাউন্সিলার ও তাঁর স্বামী পুনরায় তৃণমূলে যোগদানের পরেই প্রতিবাদী পোষ্টার পড়ল মেদিনীপুর শহরের ১৪ নং ওয়ার্ডে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। গত ২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনে ১৪ নং ওয়ার্ডে অর্পিতা রায় নায়েককে তৃণমূল প্রার্থী করার পরেও তা পরিবর্তন করে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় সংঘমিত্রা পালকে। এরপরই অর্পিতা রায় নায়েক নির্দল হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্ধিতা করে। তারপরই তৃণমূল থেকে অনির্দিষ্টকাল বহিস্কার করা হয় অর্পিতা রায় নায়েক ও তার স্বামী বিশ্বেশ্বর নায়েককে। দীর্ঘদিন ধরে বহিষ্কৃত থাকার পর গত ১৬ ই মার্চ বিধায়ক জুন মালিয়া, রাজ্য তৃণমূল সাধারন সম্পাদক আশীষ চক্রবর্ত্তী, পুরপ্রধান সৌমেন খানের হাত ধরে পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করেন বহিষ্কৃত নির্দল কাউন্সিলার অর্পিতা রায় নায়েক ও তাঁর স্বামী বিশ্বেশ্বর নায়েক। আর তারপরই শুক্রবার সকালে ১৪ নং ওয়ার্ডের চিড়িমারসাই এলাকায় প্রতিবাদ জানিয়ে পড়ল পোষ্টার।
পোষ্টারে লেখা রয়েছে “যে ব্যক্তিকে একাধিকবার বহিষ্কার করা হয়েছে, যে ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ওয়ার্ডবাসী উন্নয়নের পক্ষে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে, তাদের প্রতি প্রতারনা ও পুনরায় দলে যোগদানকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এটা ১৪ নং ওয়ার্ডবাসী মেনে নেবেনা।” আর এই পোষ্টারকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এনিয়ে নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ওয়ার্ডের একাংশ তৃণমূল কর্মী সমর্থক ও ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে। এনিয়ে সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী বিশ্বেশ্বর নায়েক জানান, কে বা কারা এই পোষ্টার দিয়েছে জানিনা। আমাকে দল নিয়েছে, আমি বিষয়টি দলকে জানিয়েছি। যারা এগুলো করেছে, বিধায়ককে কালিমালিপ্ত করার জন্য করেছে, ওয়ার্ডবাসী আমার সঙ্গে আছে। যদিও এবিষয়ে শহর বা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ভিডিও লিংক নিচে