কে টিভি প্রতিবেদন: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর নান্দাড়িয়া শাস্ত্রী স্মৃতি বিদ্যাপীঠের এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে রুখে দিল বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাব এবং ব্লক ও জেলা প্রশাসন। ছাত্রীর আপত্তি স্বত্বেও মাধ্যমিক শেষ হবার পরই মেয়ের বিয়ে দিতে উদ্যোগী হন তার পরিবারের লোকেরা। মঙ্গলবারই ছিল বিয়ের দিন। নিজে থেকে বিয়ে না আটকাতে পেরে নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে ছাত্রী শেষমেষ বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাব ‘স্বয়ংসিদ্ধা’র বান্ধবীদের মাধ্যমে ফোন মারফৎ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুদ্ধোদেব চ্যাটার্জীর দারস্থ হয়। খবর পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুদ্ধোদেব চ্যাটার্জী সহ অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষিকাগণ। বিদ্যালয়ের তরফে খবর পাঠানো হয় পুলিশ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। তৎপর হয় শালবনী ব্লক প্রশাসন ও শালবনী থানার পুলিশ।
কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যাদের সাথে নিয়ে শালবনী ব্লকের সৈয়দপুর এলাকার প্রত্যন্ত বেনাচাপড়া গ্রামে ছাত্রীটির বাড়িতে ছুটে যান প্রধান শিক্ষক শুদ্ধোদেব চ্যাটার্জী, সহ-প্রধান শিক্ষক অমিয় কুমার মোহান্ত, শিক্ষক অভিষেক দে, শিক্ষিকা দীপান্বিতা ঘোষ, ইন্দ্রানী দাস, সুস্মিতা সেন, নবমিতা দাস, মৌসুমী সাহু, মৌমিতা পাল, সুচিস্মিতা আদক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছাত্রীটির বাড়িতে পৌঁছে যান শালবনী ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এবং শালবনী থানার পুলিশ। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় নাবালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধ হয়। ছাত্রীর পরিবার পরিজনেরা পুলিশ প্রশাসন সহ স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে কথা দেন, মেয়ে সাবালিকা (১৮ বৎসর) না হলে আর বিয়ের দেওয়ার চেষ্টা করবেন না তাঁরা। নাবালিকা ছাত্রী জানায়, সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ছাত্রীর পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় গ্রহণ করবে।