প্রতিনিধি: ঝাড়গ্রাম: কে টিভি নিউজ : ২৪ মে : ১০০ হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। তাদেরকে সামাল দিয়ে সুষ্ঠ ভাবে ভোট করাই বড় চ্যালেঞ্জ বনদফতরের। একমাত্র মাওবাদী অধ্যুষিত জেলা হলেও মাওবাদী নয়। মাথা ব্যাথার কারন হাতি। হাতিতে এই মুহুর্তে নাজেহাল ঝাড়গ্রাম জেলার মানুষ। ভোটের দিন এবং তার আগের দিন হাতিকে সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে বনাঞ্চল চারটি ডিভিশনে বিভক্ত। এই চারটি ডিভিশনে প্রায় ১০০টির কাছাকাছি হাতি অবস্থান করছে এই মূহুর্তে। তার মধ্যে শুধু ঝাড়গ্রাম ডিভিশনেই রয়েছে ৭৩ টি হাতি। খড়গপুর ডিভিশনে ২২ টি হাতি। বাকি ২/৩ টি করে মেদিনীপুর এবং রুপনারায়ন ডিভিশনে রয়েছে। হাতির গতিবিধি অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে ইতিমধ্যে ১৪০ টি বুথকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি তিনটি ডিভিশনে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ২০০র বেশী। জঙ্গল লাগোয়া এই সমস্ত বুথ গুলোতে থাকছে বিশেষ নজরদারি।
রেঞ্জ অনুযায়ী ভাগ করে সেই সমস্ত রেঞ্জে ৩ থেকে ৫ টি করে মোবাইল টিম ২ টি করে হূলা টিম, এবং ৩ টি করে গাড়ির ব্যাবস্থা রাখা হচ্ছে। এর সাথে সেন্ট্রালই থাকা ঐরাবতকে প্রয়োজন অনুসারে মুভ করানো হবে। ভোট কর্মীরা যখন জঙ্গল লাগোয়া বুথ গুলোয় যাবেন তখন আগে থেকে হাতির মুভমেন্ট জেনে নিরাপদ রাস্তা দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। বুথ এলাকার পাশাপাশি হাতি থাকলে তৎক্ষনাৎ হুলাটিম দিয়ে তাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হবে। ২৩ তারিখ থেকে হাতির প্রতিটা পদক্ষেপ এর গতিবিধি নজর রাখা শুরু করেছে বনদফতর। একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বাকি তিনটি ডিভিশনেও । ভোর ভোর ভোটাররা ভোট দিতে লাইন দেন। জঙ্গল রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন। হাতি থাকলে রাত থেকেই সেই সমস্ত জঙ্গল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বসানো হচ্ছে ড্রপ গেটও। সব মিলিয়ে হাতির হানায় যাতে একজন ভোটারও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে জঙ্গল মহল জুড়ে। মাওবাদী সমস্যার সময়ও বোধয় এত নাজেহাল হতে হয়নি প্রশাসনকে, যা হাতি নিয়ে মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।