প্রতিনিধি, মেদিনীপুর কে টিভি নিউজ: ৮ এপ্রিল: পিংলায় মৃত বিজেপি কর্মী শান্তনু ঘোড়াই এর পরিবার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। সোমবার তিনি এক ঝটিকা সফরে কলকাতা থেকে ট্রেনে করে খড়গপুরে এসে উপস্থিত হন। এরপর খড়গপুর থেকে গাড়িতে করে তিনি পিংলায় গিয়ে পৌঁছান। সেখানে তিনি মৃত শান্তনুর গ্রামে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। যদিও রাজ্যপাল পৌঁছাতে শান্তনু ঘোড়ই এর পরিবার রাজ্যপালের পায়ে ধরে বিচারের দাবি তোলেন এবং কান্নাকাটি শুরু করেন। যদি এদিন রাজ্যপাল পরিবারের পাশে দাঁড়ান, সমবেদনা জানান এবং বলেন বিচার দেওয়া আমার কর্তব্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার বাঁড়বাসীর বাসিন্দা শান্তনু ঘোড়ই(৩২) গত ২২ সে মার্চ দুপুর দুটোর পর থেকে কাজের নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর বাড়ির লোকজন শান্তনু বাড়ি না ফেরায় বিকেল থেকে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজি শুরু হয় আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি পর্যন্ত। অবশেষে রাত্রি দশটা নাগাদ থানায় অভিযোগ করতে গেলে খবর আসে যে শান্তনুকে একটি জমির ধারে পাওয়া গেছে হাতে গামছা বাঁধা অবস্থায়।এরপর তাকে বাড়ির লোক খুঁজতে গিয়ে দেখে তার নাকে মুখে রক্ত,গোটা চারদিকে রক্ত। এই ঘটনায় পরবর্তীকালে বাড়ির লোকজন খড়গপুর থানায় কয়েকজনের নামে অভিযোগ করতে যায়। কিন্তু বাড়ির লোকের অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ তাদের অভিযোগ না নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখে থানায়। এরপর ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চ্যাটার্জী পৌঁছাতে অভিযোগ হয় থানায়। সেই অভিযোগ পত্রে বিজেপি করার অপরাধে তাকে যে শাসানো হতো সেই ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। সেই ঘটনার পর বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায় মৃতের বাড়িতে দেখা করতে গেলে হিরনকে কাছে পেয়ে ভেঙে পড়ে পরিবার এবং পা ধরে আবেদন করে বিচারের জন্য।

সোমবার রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি এই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি নিজের স্বচক্ষে দেখেছি, একটি বাচ্চা যে হারিয়েছে তার বাবাকে, একজন স্ত্রী হারিয়েছে তার স্বামীকে। খুনি একমাত্র খুনিই হয়। খুনি কখনও কোন পার্টির বা জাতির হতে পারে না এবং তার জায়গা হল একমাত্র জেল। তিনি এও বলেন, রাজনৈতিক কারণে মারা গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে তদন্তকারী অফিসাররা। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, এই ভোট শান্তিপূর্ণ হবে। এ ভোট বুলেটের নয় বরং ব্যালটের মধ্য দিয়েই হবে। দোষীরা কেউই ছাড়া পাবে না।