প্রতিনিধি কেশপুর, কে টিভি নিউজ বাংলা: পশ্চিম মেদিনীপুর: ২৩শে ফেব্রুয়ারী: বছরের পর বছর ধরে হাতির পাল এসে আলুর সময় ফসল নষ্ট করে যাচ্ছে, বিন্দুমাত্র হুঁশ নেই বনদপ্তরের! বনদপ্তরের উপর ক্ষুব্ধ এলাকার চাষীরা! ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ২ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত রাজ্যগ্রাম, খড়িগাড়িয়া হাতবান্দী ও মহাডিয়া এলাকায়। বিগত ৪-৫ বছর ধরে আলুর সময় হাতি এসে বিঘের পর বিঘে আলু চাষ নষ্ট করে যাচ্ছে, অথচ বনদপ্তর হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে এমনই অভিযোগ চাষীদের। বৃহস্পতিবার রাত্রে গড়বেতা ব্লকের মর্চির জঙ্গল থেকে একটি হাতির দল কেশপুর ব্লকের রাজ্যগ্রাম, খড়িগাড়িয়া হাতবান্দী ও মহাডিয়া এলাকায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ বিঘা জমির উপর রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়াতে থাকে। যার ফলে নষ্ট হয়েছে চাষের জমির ফসল আলু ও সদ্য রোপন করা ধান চাষ। কৃষক প্রথীক মন্ডল জানান, বনদপ্তর শুধুমাত্র এসে গাড়িতে বসে বসে চলে গেছে। হাতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন ব্যবস্থাই করেনি। সরকারের কাছে ফসল নষ্টের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি আমরা। আরও এক কৃষক সমর ঘোষ বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বনদপ্তরের বিরুদ্ধে! তিনি বলেন বনদপ্তরের আধিকারিকদেরকে বলতে গেলে তারা জানায়, যত বেশি দিন হাতি নামবে ও ক্ষতি করবে তত তাদের বেতন বৃদ্ধি হবে! তাই তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। চাষীরা এক প্রকার ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন বনদপ্তরের ভূমিকাতে। তবে কয়েকশ বীঘা আলু চাষে জমি ক্ষতি হয়ে গেলেও কোনভাবেই দেখা মেলেনি বনদপ্তরের আধিকারিকদের। এলাকার চাষিরা ক্ষোভে ফুঁসছে বনদপ্তরের উপর!
যদিও এবিষয়ে মেদিনীপুরের বিভাগীয় বনাধিকারিক এম. দীপক জানান, ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বন দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে কৃষকদের কার কতটা ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে। হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বন দপ্তরের তরফে। পাশাপাশি ঐ এলাকার হাতি গুলিকে যাতে গভীর জঙ্গলের দিকে তাড়ানো যায় তার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বন দপ্তরের তরফে।