প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: কে টিভি নিউজ: ১৬ মার্চ: একসময় তৃণমূলেই ছিলেন। ২০২২-র পৌর নির্বাচনে মেদিনীপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের প্রার্থীও করা হয়েছিল তাঁকে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অবশ্য বাদ গিয়েছিল অর্পিতা রায় নায়েকের নাম। তাঁর পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছিলেন মেদিনীপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব ঘনিষ্ঠ সঙ্ঘমিত্রা পাল। এরপরই, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ‘নির্দল’ প্রার্থী হয়েছিলেন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতা বিশ্বেশ্বর নায়েকের স্ত্রী অর্পিতা। ফলস্বরূপ বিশ্বেশ্বর ও অর্পিতা-কে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ বহিষ্কার করেছিল জেলা তৃণমূল। তারপরও অবশ্য অর্পিতা-ই জয়ী হয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় সেই অর্পিতা আর বিশ্বেশ্বরের হাতে ফের উঠল তৃণমূলের পতাকা! রাজ্য নেতৃত্বের ‘অনুমোদন’ নিয়ে মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়া-ই তাঁদের হাতে তুলে দেন দলীয় পতাকা। সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুর পুরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান, রাজ্য সম্পাদক আশিষ চক্রবর্তী প্রমুখ।
দলে ফিরেই অর্পিতা অবশ্য ক্যামেরার সামনে বলেই ফেললেন, “আমি তো তৃণমূলেই ছিলাম। মন থেকে! পার্টির সঙ্গেই ছিলাম। অফিসিয়ালি আজকে যোগদান করলাম!” ‘যোগদান করলেন কেন?’ প্রশ্নের উত্তরে অর্পিতা বললেন, “সেটা দিদি (জুন দি) আর পৌরপিতা (সৌমেন খান) বলতে পারবেন!” উল্লেখ্য যে, এদিন নান্নুরচকে অবস্থিত মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে এই যোগদান হলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। বলাই বাহুল্য, সুজয় ঘনিষ্ঠ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবও এদিন ছিলেন না! তাঁর সঙ্গে এদিন ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা ফোনে জানিয়েছেন, “আমি এখনও সব কাজ গুছিয়ে বেলদা থেকে বাড়ি ফিরতেই পারিনি! তবে, দলের তথা শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন বা অনুমতি নিয়েই অর্পিতা রায় নায়েক ও বিশ্বেশ্বর নায়েক-কে যোগদান করানো হয়েছে। একসময় শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই দলের সিদ্ধান্ত না মানার কারণে, বহিষ্কার করা হয়েছিল।”